স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তত্ত্বাবধান ও পরিচালনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ও জাতিসঙ্ঘের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ কংগ্রেসম্যান। পাশাপাশি শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার ওই কংগ্রেসম্যানরা জাতিসঙ্ঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ডকে লেখা এক চিঠিতে এ আহ্বান জানান। তারা এমন সময় এ চিঠিটি দিলেন যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৬ মিনিটে কংগ্রেসম্যান বব গুড টুইটারে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য। আমি ১৩ সহকর্মীকে সাথে নিয়ে জাতিসঙ্ঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূতের কাছে চিঠি পাঠিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি।’
বব গুড হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের শিক্ষা ও শ্রমশক্তিবিষয়ক কমিটির সদস্য। একই সঙ্গে তিনি হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে বাজেটবিষয়ক কমিটি এবং ফ্রিডম ককাসের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ছাড়া চিঠিতে স্বাক্ষরকারী অন্য কংগ্রেসম্যানরা হলেন- অ্যানা পলিনা-লুনা, র্যালফ নরম্যান, স্কট পেরি, যশ ব্রেচেন, অ্যান্ড্রু ক্লেড, এইলি ক্রেইন, পল এ গসার, রনি এল জ্যাকসন, ব্রেইন বেবিন, করি মিলস, ডোগ লামাফা, র্যান্ডি ওয়েবার ও গ্রেন গ্রোথম্যান।
বাংলাদেশের বিষয়ে চলতি বছরের ২৫ মে অপর পাঁচ কংগ্রেসম্যানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বব গুড। ওই চিঠিসহ একটি বিবৃতি নিজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ২ জুন প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী অন্য কংগ্রেস সদস্যরা ছিলেন স্কট পেরি, ব্যারি মুর, টিম বারচেট, ওয়ারেন ডেভিডসন ও কিথ সেলফ। তারা সবাই বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির সদস্য।
চিঠিতে বাংলাদেশকে অবাধ নির্বাচনের সর্বোত্তম সুযোগ করে দেয়ার জন্য কঠোর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সেনাদের জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ফ্রিডম হাউস ও জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস সদস্যরা চিঠিতে বাংলাদেশে ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ক্রমাগত প্রত্যাখ্যান করে আসা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন, বাকস্বাধীনতার জায়গা সংকুচিত হয়ে আসা এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের ওপর হামলার’ কথা বলেছিলেন।